নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে রঙ হারিয়েছে এবারের ঈদুল আযহার (কোরবানি) উৎসব। তবে একদম ফিকে হয়ে যায় নি। তাইতো পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে কর্মস্থল থেকে ছুটে এসেছিলো হাজারো মানুষ। তবে ছুটি শেষে এবার কর্মস্থলে ফেরার পালা। তাই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষদের কর্মস্থল মুখিতায় গতকাল ভিড় বেড়েছে বরিশালের লঞ্চ টার্মিনালে। তবে যাত্রীদের চাপে বরিশাল নদী বন্দরে উপেক্ষিত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। এমনকি অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপে কিছু লঞ্চ নির্ধারিত সময়ের আগে ছেড়ে গেছে। তবে প্রশাসনের তদারকিতে অনেক যাত্রী ভিড় ঠেলে নদী বন্দরে এলেও ঢাকা যেতে পারেন নি বলে জানা গেছে।
বরিশাল নদী বন্দরের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু জানান, স্বাভাবিক ঈদ কোরবানিতে যেমন যাত্রীর চাপ থাকে এবার তেমন ছিল না। তাই বরিশাল থেকে যার যার কর্মস্থলে ফেরার পথে অন্যবার যেমন অতিরিক্ত ভিড় দেখা যায় এবার সেটা লক্ষ্য করা যায় নি। তবে আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকামুখী লঞ্চ গুলোতে অতিরিক্ত ভিড় ছিল। তবে ভিড় থাকলেও যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় এবং সবাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে যাত্রা করে সে ব্যাপারে তদারকি করেছে নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে নদী বন্দরে দায়িত্বপালনরত নৌ-পুলিশ কর্মকতা আল মামুন জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকামুখী যাত্রীদের সবচেয়ে বেশি চাপ ছিলো। নির্ধারিত সাতটি লঞ্চ সন্ধ্যার আগেই যাত্রীদের ভিড়ে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এসময় যাত্রীদের অসচেতনায় করোনা প্রতিরোধক স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হবার উপক্রম হয়।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন ,‘অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে বরিশাল নদী বন্দর থেকে দুটি লঞ্চ নির্ধারিত সময়ের আগেই ছেড়ে যায়। বাকি পাঁচটি লঞ্চের যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে অনেককে লঞ্চ থেকে নেমে যেতে বাধ্য করা হয়’। আর কর্মস্থলে ফিরতে সকল যাত্রী যেন স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে এবং যানবাহন কর্তৃপক্ষ যেন এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় সেদিকে নজর রাখছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ( বিএমপি)। বিএমপি কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান জানান, লঞ্চ কিংবা বাস যে পথেই যাত্রীরা চলাচল করুক সকলের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার ব্যাপারে সজাগ আছেন তারা। এজন্য প্রতিটি বাস টার্মিনাল ও লঞ্চ ঘাটে তাদের টহল টিম সজাগ আছে।
Leave a Reply